রাজধানী ঢাকার আকাশে বিরল এক মহাজাগতিক দৃশ্য—বৃহস্পতি গ্রহের উজ্জ্বল উপস্থিতি—উৎসুক নগরবাসীর মাঝে সৃষ্টি করেছে ব্যতিক্রমী উন্মাদনা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার ও জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের উদ্যোগে আয়োজিত এক জনসচেতনামূলক স্কাইওয়াচিং ইভেন্টে হাজারো মানুষ ভিড় জমায়।
নভোথিয়েটারের উন্মুক্ত প্রাঙ্গণে স্থাপন করা হয় আধুনিক টেলিস্কোপ ও পর্যবেক্ষণ যন্ত্র। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গেই দর্শনার্থীদের লাইন দীর্ঘ হতে থাকে। শিশুরা ছিল একেকটা কৌতূহলী চোখ, তরুণেরা মোবাইলের ফ্ল্যাশে বন্দি করে মহাকাশের এক ঝলক, আর প্রবীণরাও হারিয়ে যান তারার রাজ্যে ফিরে যাওয়ার নস্টালজিয়ায়।
বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সোসাইটি-এর বিজ্ঞানীরা উপস্থিত থেকে ব্যাখ্যা করেন বৃহস্পতি গ্রহের গঠন, তার চাঁদসমূহ এবং পৃথিবী থেকে এর দেখার উপযুক্ত সময়। এবারের অবস্থান ছিল এতটাই স্পষ্ট যে খালি চোখেও বৃহস্পতির উজ্জ্বলতা অনুভব করা যায়।
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. সায়েমা হক বলেন, “বৃহস্পতি সূর্যের সবচেয়ে বড় গ্রহ, আর আজকের মত এমন পরিষ্কার আকাশ ও নিখুঁত দূরত্বে অবস্থান এক বিরল সুযোগ। আমরা চেষ্টা করছি মানুষকে মহাকাশ বিজ্ঞান সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলতে।”
নগরের ব্যস্ত রুটিনের মাঝেও বিজ্ঞান ও মহাকাশপ্রেমীরা যে এখনও আকাশে তাকাতে জানে—এদিনের উৎসব তারই প্রমাণ। এমন আয়োজন প্রতি বছর করার দাবি জানিয়েছেন অনেকে।
এ যেন শুধুই এক গ্রহ দেখা নয়, বরং জ্যোতির্বিজ্ঞানের প্রতি জনসচেতনতা তৈরির এক মহাকাশময় সন্ধ্যা।